নিজস্ব প্রতিবেদক:- “বাংলাদেশ আমার অহংকারচ্ এই স্লোগান নিয়ে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।

র‍্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি একটি সিএনজি

যোগে মাদকদ্রব্য নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখ ০৮৩০ ঘটিকায় র‍্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন নাজিরহাট এলাকায় পাকা রাস্তার উপর বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি সিএনজি তল্লাশী করে আসামী ১। মোঃ ইমরান হোসেন @ নাঈম (২০), পিতা-মোঃ শাহআলম, সাং-গার্ডপাড়া, থানা-ভূজপুর, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত

আসামীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে সিএনজির পিছনের ইঞ্জিন কভারের ভিতর এবং সিএনজির

ড্রাইভার এর সিটের নিচ হতে আসামীর নিজ নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ১৯৯ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১০ কেজি গঁাজা উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা হইতে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল কৌশলে সংগ্রহ করে সিএনজি যোগে পরিবহণ করে চট্টগ্রামের আশে-পাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।